' নয়ন ছেড়ে চলে গেলে ' রাস্কিন বন্ড মূল গল্প: The Eyes Have It ভাষান্তরঃ অমিতকুমার বিশ্বাস রোহানা পর্যন্ত ট্রেনের কামরায় একাই ছিলাম। একটি মেয়ে তারপর উঠল। যে দম্পতি তাঁকে বিদায় জানাতে এসেছিল সম্ভবত তাঁরা তাঁর বাবা-মা ছিলেন। মনে হল তাঁরা তাঁর ভালোমন্দ নিয়েও বেশ উদ্বিগ্ন। আর কোথায় জিনিসপত্র রাখতে হবে , কখন জানলা দিয়ে ঝুঁকবে না , এবং কীভাবে অপরিচিত লোকেদের সাথে বাক্যালাপ এড়িয়ে চলবে--এসব বিষয়ে ভদ্রমহিলাটি মেয়েটিকে সবিস্তারে জানিয়ে দিল। তাঁরা বিদায় শুভেচ্ছা জানালেন , আর প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই ট্রেনটি স্টেশন ছেড়ে এগিয়ে যেতে লাগল। যেহেতু আমি সম্পূর্ণ দৃষ্টিহীন , যেহেতু কেবলমাত্র আলো আর আঁধার অনুভূত হয় আমার চোখে , সেহেতু মেয়েটি ঠিক কেমন দেখতে তা আমার পক্ষে বলা মুশকিল ছিল। তবু তাঁর গোড়ালিতে চটাস চটাস শব্দ শুনে আমি বুঝেছিলাম সে ঘরে পরার চটি পরেছিল। তাঁকে কেমন দেখতে এটা বুঝে উঠতে আমার বেশ কিছুটা সময় নিতে হবে , আর হয়তো আমি কখনোই তা বুঝতে পারব না। তবু তাঁর কন্ঠস্বর আমার ভারি ভালো লাগল , আর ভালো লাগল ত
গভীর মনোবেদনায় সেই তিন স্বপ্নচর অথবা তিন রাতচরা আর ওদের যা যা ভালোলাগত না গাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেস মূলগল্প: Amargura Para tres sonambulos ভাষান্তরঃ অমিতকুমার বিশ্বাস গল্পটি গ্রেগরি রাবাস্যা ও জে এস বের্নস্টেইনের স্প্যানিশ থেকে অনুদিত ইংরেজি গল্প ‘Bitterness fort Three Sleepwalkers’ থেকে বাংলায় অনুবাদ করা হয়েছে। গল্পটির দ্বিতীয় নামকরণটি করেছেন তমাল বন্দ্যোপাধ্যায়। তাহলে তাঁকে বাড়ির এক কোনায় পরিত্যাক্ত অবস্থায় পেলাম। বিশেষত তার জিনিসপত্র আনার আগে -অর্থাৎ তার কাপড়চোপড় যেগুলি থেকে সদ্য টুকরো করে কাটা কাঠের গন্ধ বের হচ্ছিল , কাদায় হাঁটার জন্য তাঁর ওজনহীন জুতো নিয়ে আসার আগে কেউ একজন বলেছিল , এরকম মন্থর জীবনের সাথে সে মানিয়ে নিতে পারবে না , কারণ তাঁর সুস্থ রুচি কিংবা কোনো আকর্ষণ কিছুই নেই , থাকার মধ্যে আছে কেবল জটার মতো এক কঠোর নিঃসঙ্গতা , যা তাঁকে সর্বদা তাড়া করে বেড়াত। আরেকজন বলেছিল- তাঁর একটা শৈশবও ছিল , যা মনে করতে আমাদের বেশ কিছুটা সময় লেগেছিল। হয়তো সে সময় তা আমরা বিশ্বাস করতে চাইনি ; কিন্তু তাঁকে এক কোনায় ভয়ার্ত চোখে ঠোঁটের উপ